মাটি দূষণ বা মৃত্তিকা দূষণ বলতে রাসায়নিক বর্জ্যের নিক্ষেপ কিংবা
ভূ-গর্ভস্থ ফাটলের কারণে নিঃসৃত
বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের
মিশ্রণের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি
নষ্ট হওয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে। কারণ মৃত্তিকা দূষণ বা মাটি দূষণ নিম্নরূপে
সংঘটিত হতে পারে - ভূ-তলে সংরক্ষিত ট্যাঙ্কের জ্বালানী বিস্ফোরণ। আগাছানাশক, কীটপতঙ্গ ধ্বংসকারী কীটনাশক এবং সারের প্রয়োগ। খনিজ দ্রব্য আহরণ। কয়লা , ইটভাটার ছাই । আবর্জনা ভূমির স্তুপ। উৎপাদিত শিল্পজাত বর্জ্যকে সরাসরি ভূমিতে নিষ্কাষণ। পয়ঃনিষ্কাষণে ব্যবহৃত পানি ভূমিতে প্রয়োগ। মূলতঃ সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পেট্রোলিয়াম হাইড্রোজেন ও
কার্বনের মিশ্রিত যৌগ, কীটনাশক, সীসা এবং অন্যান্য ভারী পদার্থ মৃত্তিকা দূষণের জন্যে দায়ী।
বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের
মিশ্রণের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি
নষ্ট হওয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে। কারণ মৃত্তিকা দূষণ বা মাটি দূষণ নিম্নরূপে
সংঘটিত হতে পারে - ভূ-তলে সংরক্ষিত ট্যাঙ্কের জ্বালানী বিস্ফোরণ। আগাছানাশক, কীটপতঙ্গ ধ্বংসকারী কীটনাশক এবং সারের প্রয়োগ। খনিজ দ্রব্য আহরণ। কয়লা , ইটভাটার ছাই । আবর্জনা ভূমির স্তুপ। উৎপাদিত শিল্পজাত বর্জ্যকে সরাসরি ভূমিতে নিষ্কাষণ। পয়ঃনিষ্কাষণে ব্যবহৃত পানি ভূমিতে প্রয়োগ। মূলতঃ সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পেট্রোলিয়াম হাইড্রোজেন ও
কার্বনের মিশ্রিত যৌগ, কীটনাশক, সীসা এবং অন্যান্য ভারী পদার্থ মৃত্তিকা দূষণের জন্যে দায়ী।
মাটি দূষণের প্রভাব: মাটি দূষণের পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব হচ্ছে:
১) দূষিত মাটিতে উত্পন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে খেলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
২) দূষিত মাটিতে গাছপালা জন্মায় না ফলে পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।
৩) মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার ফলে ফসল ভাল জন্মায় না।
৪) দূষিত মাটিতে গাছপালা ও পশুপাখি মারা যায় এবং তাদের বাসস্থান ধ্বংস হয়।
৫) মাটিতে উদ্ভিদের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অকার্যকর হয়ে পড়ে।
প্রশ্ন-৪: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?
অথবা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষণের পাঁচটি কারণ বর্ণনা কর।
উত্তর: বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ পরিবেশের উপাদানকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছে। এর ফলে পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাটি, পানি, বায়ু দূষিত হচ্ছে।
পরিবেশ দূষণের কারণ:জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষণের পাঁচটি কারণ নিম্নরূপ:
গাছপালা নিধন: মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে প্রচুর গাছপালা কেটে ফেলে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের সরবরাহ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ কমে যায় এবং পরিবেশ দূষিত হয়।
কলকারখানার বর্জ্য: কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ পরিবেশকে দূষিত করে।
যানবাহনের মাধ্যমে: যান্ত্রিক যানবাহনের কালো ধোঁয়া ও শব্দ পরিবেশকে দূষিত করছে।
মাঁটি ক্ষয়: মানুষ তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দালানকোঠা তৈরির জন্য পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
জমিতে অতিরিক্ত সার প্রয়োগ: বাড়তি মানুষের জন্য অতিরিক্ত ফসল উত্পাদনের জন্য প্রচুর রাসায়নিক সার প্রয়োগে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
প্রশ্ন-৫: মাটি এবং পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: মাটি এবং পানি দূষণের সাদৃশ্য নিম্নরূপ:
কৃষি কাজে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার মাটি ও পানিকে দূষিত করে।
গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য ও কলকারখানার রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে মাটি ও পানি দূষিত হয়।
ময়লা আবর্জনা, মল-মূত্র মাটি ও পানিকে দূষিত করে।
যানবাহনের বর্জ্য পদার্থ মাটি ও পানির সাথে মিশে মাটি ও পানিকে দূষিত করে।
কি কি করনীয়
- ১) নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা - আবর্জনা ফেলা।
- ২) জমিতে জৈব সার যেমন - কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করা।
- ৩) পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা।
- ৪) জিনিসপত্রের ব্যবহার কমানো ও পুন:ব্যবহার করা।
- ৫) বনভূমি ধ্বংস না করা বা বেশি করে গাছ লাগানো।
- ১ পলিথিন মাটিতে না ফেলা
- ২ বজ্রপদার্থ যেখানে সেখানে না ফেলা
- ৩ জমিতে সারের ব্যাবহার কমিয়ে দেওয়া
- ৪ রাসায়নিক বজ্র পদার্থ মাটিতে না ফেলা
- ৫ জনসচেতেনতা বৃদ্ধি করা
إرسال تعليق