অসহনীয় গরম থেকে খানিক রেহাই পেতে এবং শরীরের ঘাম হয়ে বেরিয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণ করতে পানি পান করার বিকল্প নেই। আবার স্বস্তি পাওয়ার অজুহাতে অনেকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানিও পান করেন হরহামেশাই। কিন্তু এ রকম ঠান্ডা পানি যখন-তখন পান করা কি উচিত?
পানি পান করার আদর্শ সময় সম্পর্কে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত ভারী খাওয়া-দাওয়ার আগে কিংবা পরে কমপক্ষে এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত নয়।
.
তিনি আরও বলেন, ‘পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। খাওয়ার পর অনেকে প্রায় একই সঙ্গে দু-তিন গ্লাস পানি পান করে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে শুয়েও পড়েন অনেকে। এতে বুক ধড়ফড় করে। মূলত অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় অর্থাৎ পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালি দিয়ে অনেক সময় গলা পর্যন্ত উঠে আসে। ফলে গলায় জ্বালাপোড়া, পেটের ওপরের দিকে চিনচিনে ব্যথা ও বুক ধড়ফড় করার মতো সমস্যা অনুভূত হয়।’
বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাওয়ার পর অতিরিক্ত পানি পান করা এবং সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ার কারণে গলায় ঘা পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। তবে খাওয়ার পর অন্তত মুখ পরিষ্কার করার দোহাই দিয়ে সামান্য পানি পান করাই যায়, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে নয়। আর খাওয়ার মাঝ পর্যায়ে গলা ভেজানোর জন্যও পান করতে পারেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি। পরিপাকের সুবিধার জন্যও এটুকু পানি পান করা দরকার।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা পানি পান করলে মেদ ঝরে। এর ব্যাখ্যা হলো, ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা আর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্যের কারণে পানির তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে, এতে মেদ ঝরতে পারে। তবে এই মেদ হ্রাসের পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই এতে খুশি হওয়ার কারণ নেই। বরং ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষতিকর দিকটি এতই প্রকট যে এই সামান্য ভালো দিকটির অস্তিত্ব তার কাছে প্রায় নেই বললেই চলে।
খাওয়ার মাঝে কিংবা শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে তা খাবারের চর্বি অংশটুকুকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যায়। বুঝতেই পারছেন, এতে শরীরে মেদ কমে নাকি বাড়ে। একই সঙ্গে ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে শরীর ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আর এ কারণে খাবার পরিপাকের প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানির সহায়তায় খাবারের সেই কঠিন হওয়া অতিরিক্ত চর্বিকে পরিপাক করাটা শরীরের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়। ধমনিতেও ধীরে ধীরে জমতে থাকে চর্বি। পরিণাম, উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যা একজন মানুষকে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনকে আমাদের শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে না। অনেক সময় বাইরের গরম পরিবেশ থেকে এসে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের পানির লোভ আর কিছুতেই সামলানো যায় না। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিছুটা সময় নিয়ে স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের তাপমাত্রার মধ্যে যোগসূত্র থাকাটা খুব জরুরি।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি তাহলে কখন পান করবেন? পিপাসা হচ্ছে সেই অনুভূতি, যা খুব সহজেই জানিয়ে দেয়, শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতে তাড়াতাড়ি পানি পান করতে হবে। সুতরাং একমাত্র পরিতৃপ্তির জন্য মাঝেসাঝে স্বাভাবিক পানির সঙ্গে ফ্রিজের পানি মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই সেই পানির শীতলতা থাকবে পরিবেশ ও শরীরের তাপমাত্রার সহ-অবস্থানে।
চিকিৎসক ফিরোজ আমিন বলেন, যাঁদের অ্যাজমা, টনসিলাইটিস কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একেবারেই নিষিদ্ধ।
পানি পান করার আদর্শ সময় সম্পর্কে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত ভারী খাওয়া-দাওয়ার আগে কিংবা পরে কমপক্ষে এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে পানি পান করা উচিত নয়।
.
তিনি আরও বলেন, ‘পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। খাওয়ার পর অনেকে প্রায় একই সঙ্গে দু-তিন গ্লাস পানি পান করে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে শুয়েও পড়েন অনেকে। এতে বুক ধড়ফড় করে। মূলত অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় অর্থাৎ পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালি দিয়ে অনেক সময় গলা পর্যন্ত উঠে আসে। ফলে গলায় জ্বালাপোড়া, পেটের ওপরের দিকে চিনচিনে ব্যথা ও বুক ধড়ফড় করার মতো সমস্যা অনুভূত হয়।’
বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাওয়ার পর অতিরিক্ত পানি পান করা এবং সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়ার কারণে গলায় ঘা পর্যন্ত তৈরি হতে পারে। তবে খাওয়ার পর অন্তত মুখ পরিষ্কার করার দোহাই দিয়ে সামান্য পানি পান করাই যায়, কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে নয়। আর খাওয়ার মাঝ পর্যায়ে গলা ভেজানোর জন্যও পান করতে পারেন স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি। পরিপাকের সুবিধার জন্যও এটুকু পানি পান করা দরকার।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা পানি পান করলে মেদ ঝরে। এর ব্যাখ্যা হলো, ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা আর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্যের কারণে পানির তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক করতে শরীর অতিরিক্ত শক্তি ব্যয় করে, এতে মেদ ঝরতে পারে। তবে এই মেদ হ্রাসের পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই এতে খুশি হওয়ার কারণ নেই। বরং ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষতিকর দিকটি এতই প্রকট যে এই সামান্য ভালো দিকটির অস্তিত্ব তার কাছে প্রায় নেই বললেই চলে।
খাওয়ার মাঝে কিংবা শেষে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করলে তা খাবারের চর্বি অংশটুকুকে কঠিন অবস্থায় নিয়ে যায়। বুঝতেই পারছেন, এতে শরীরে মেদ কমে নাকি বাড়ে। একই সঙ্গে ঠান্ডা পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে শরীর ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আর এ কারণে খাবার পরিপাকের প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানির সহায়তায় খাবারের সেই কঠিন হওয়া অতিরিক্ত চর্বিকে পরিপাক করাটা শরীরের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এসব অতিরিক্ত চর্বি কখনো কখনো রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শোষিত হয়। ধমনিতেও ধীরে ধীরে জমতে থাকে চর্বি। পরিণাম, উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যা একজন মানুষকে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনকে আমাদের শরীর সহজে গ্রহণ করতে পারে না। অনেক সময় বাইরের গরম পরিবেশ থেকে এসে ঘরে ঢুকেই ফ্রিজের পানির লোভ আর কিছুতেই সামলানো যায় না। এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিছুটা সময় নিয়ে স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন। সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হিসেবে শরীরের তাপমাত্রা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের তাপমাত্রার মধ্যে যোগসূত্র থাকাটা খুব জরুরি।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি তাহলে কখন পান করবেন? পিপাসা হচ্ছে সেই অনুভূতি, যা খুব সহজেই জানিয়ে দেয়, শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে। তাই তৃষ্ণা মেটাতে তাড়াতাড়ি পানি পান করতে হবে। সুতরাং একমাত্র পরিতৃপ্তির জন্য মাঝেসাঝে স্বাভাবিক পানির সঙ্গে ফ্রিজের পানি মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই সেই পানির শীতলতা থাকবে পরিবেশ ও শরীরের তাপমাত্রার সহ-অবস্থানে।
চিকিৎসক ফিরোজ আমিন বলেন, যাঁদের অ্যাজমা, টনসিলাইটিস কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একেবারেই নিষিদ্ধ।
Post a Comment