একটি দিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর রুটিন কী?
আপনার দৈনন্দিন রুটিনেই আপনার সুস্থ্য থাকার চমৎকার সব সুযোগ রয়েছে। আমাদের বেশিরভাগই শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য নানাকিছু করতে চাই। কিন্তু জিমনেশিয়ামে যাওয়া বা ব্যায়াম করাটা আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের রুটিনের মধ্যেই শরীরকে ফিট রাখার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। শুধুমাত্র দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস বজায় রাখলেই এটা সম্ভব।

পুরোনো দিনের কিছু অভ্যাসে ফিরে গেলে এখনো আমাদের শারিরীক ফিটনেসে ভিন্নতা আনা সম্ভব। একটি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলাটাই হল মূল কথা। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান। এতে আপনার হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালি হবে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা বন্ধ হবে এবং দুর্বলতা দূর হবে।

আর কখনোই সকালের নাস্তা খাওয়া বাদ দিবেন না। সাধারণত অফিসে যাওয়ার জন্য যে সময়টাতে আপনি ঘুম থেকে উঠতেন এখন থেকে তার আরও অন্তত আধা ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। ঘুম থেকে উঠে স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার রান্না করে খান।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য কেনার জন্য বাজারে যাওয়ার সময় পায়ে হেঁটেই যান। আপনার অফিস স্পেস যদি ভবনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলাতেই হয় তাহলে লিফট ব্যবহার না করে বরং পায়ে হেঁটেই উঠুন। প্রথম প্রথম হয়তো এতে আপনার কিছুটা কষ্ট হবে, কিন্তু এরপর কয়েকদিনেই আপনি এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনাকে দৈনন্দিন রুটিন ভেঙ্গে আলাদা করে ব্যায়াম করতে হবে না।

অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভেঙ্গে পড়বেন না। মানসিক চাপ দূর করার অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যে সহজেই অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। গান শোনা বা বই পড়ার মতো কোনও সখের অভ্যাস গড়ে তুলুন। অতীতের সমস্যা বা পরবর্তী কর্ম দিবসের চাপ অথবা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ গন্তব্যের কথা ভেবে খুব বেশি চিন্তিত হবেন না।

কর্মস্থলের হ্যাপা কর্মস্থলেই ফেলে আসুন। বাসায় গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এবং আরও বেশি নিরুদ্বেগ পরিবেশ সৃষ্টি করুন। আপনার বসত ঘরে একটি ছোট্ট লাইব্রেরি বা মিউজিক কর্নার তৈরি করার জন্য একটু খালি জায়গা তৈরি করুন। যেখানে আপনি যা খুশি তাই করতে পারবেন এবং অন্তত ঘন্টা খানেক সময় ব্যায় করতে পারবেন।

Post a Comment

أحدث أقدم